বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার ফিরে এলো সেই ভয়াবহ আতঙ্ক। আবারো দুর্ঘটনার কবলে ভারতীয় রেল। এবার দুর্ঘটনার শিকার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ঠিক এক বছর আগে জুন মাসের ২ তারিখে উড়িষ্যার বাহানগায় বীভৎস রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস। মারা গিয়েছিল ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী।
এখনও অনেকের অচিহ্নিত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে দিল্লি এইমস-এর মর্গে। আর বছর পার করতে না করতেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এদিন সকালে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে আসছে ঠিক তখনই তার পেছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি।
ধাক্কার সময় গতিবেগ এতই বেশি ছিল যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল বগিটি মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরের কামরাটিও। রেলের তরফে দাবী করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত দুজন মারা গেছে কিন্তু রেল পুলিশের তরফে দাবী করা হচ্ছে কমপক্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা! যেখানে একটি এক্সপ্রেস লাইনের পেছনে এসে একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মারতে হল! রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে খুব সম্ভবত সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ভুল সিগন্যালের কারণে যে লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ছিল সেই একই লাইনে ঢুকে পড়ে মাল গাড়িটিও এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার পেছনে সজোরে আঘাত করে।
কিন্তু সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থাকা সত্ত্বেও মালগাড়ির চালক গাড়ির গতি না কমিয়ে সজোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পার্সেল বগিতে ধাক্কা মারল, তা নিয়েও উড়ছে প্রশ্ন। তাহলে কি চালক দেখতে পাননি? নাকি তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? নাকি এর পেছনে কোনো অন্তর্ঘাত? কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় রেলের তরফে চালু করা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম এবং হেল্প লাইন নম্বর। দিল্লির কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণব।