October 3, 2024
a group of people holding signs - bangadarpan.com

collected from internet

শেয়ার করুন

দ্য থেমেছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। দেশজুড়ে গণতন্ত্রের উৎসব পালনের নামে চলেছে দেদার অর্থের অপচয় এবং দান-খয়রাতি। দীর্ঘ একদশক পর দেশের বিরোধী আসনে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের উত্থান যেমন ঘটেছে, তেমনি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে জোট সঙ্গীদের ওপর ভর করেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে তৃতীয়বারের জন্য বসেছেন নরেন্দ্র মোদী।

এবারের নির্বাচন একাধিক দিক থেকেই গুরুত্ব বহন করে। একক সরকারের সবচেয়ে বড়ো ইতিবাচক দিক হল, তা দেশের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পারে, যেকোনো নীতি প্রণয়নে কারো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হয় না। কিন্তু একক সরকার ক্ষমতার মোহে অজান্তেই হয়ে ওঠে স্বৈরতান্ত্রিক। গত দশবছরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপি গায়ের জোরেই একাধিক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে।

বিরোধী দলের কথা বিন্দুমাত্র শোনার প্রয়োজন বোধ করেনি শাসক। যা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মানুষ এককভাবে কোনো দলকেই ক্ষমতায় না আনায় দেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক বৈচিত্র্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। জোট সরকারের সবচেয়ে বড়ো নেতিবাচক দিক হল শরিক নির্ভরতা। যেকোনো সিদ্ধান্ত সহজে গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

সংবিধানকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া সরকারের প্রথম কর্তব্য হল জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করা, যা গত এক দশকে তীব্রভাবে ব্যহত হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নামে ধর্মীয় বিষবাষ্পে ভরে উঠেছে ভারতের আকাশ।

নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিপুল অর্থের আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে, সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশের গরীব মানুষ। কর্ম সংস্থান না থাকায় অনুদান নির্ভর হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও বিষয়টি অনেকটি এরকম।

শিক্ষা-চাকরি ক্ষেত্রে দুনীর্তি সমাজে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। করোণা মহামারী পরবর্তীতে সমগ্র দেশের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। এরাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির অবস্থাও তথৈবচ। এর আশু সমাধান না হলে সামাজিক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণের দায় কেবল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের নয়, জনগণকেও নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সচেতন নাগরিকই রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড।

শেয়ার করুন

1 thought on “সম্পাদক সমীপেষু: গভীর সংকটে দেশ-কাল-সমাজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *