
image collected from internet
জরায়ুর মুখের ক্যান্সার বা সারভাইক্যাল ক্যান্সার দিন দিন ভারতীয় মহিলাদের কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ভারতেই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই রোগে আক্রান্তকারীর সংখ্যা। জরায়ুর ক্যান্সার কাদের হতে পারে এবং এর প্রতিষেধকই বা কী?
সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলার ধর্মশালায় সারভাইক্যাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের গাইনো অঙ্কোলজির চিকিৎসক ড. কঙ্কনা উমারিয়া। তিনি বলেন প্রষিষেধক বা টিকাই এই রোগ প্রতিরোধের প্রথম শর্ত।
সাধারণত কোনো সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ৯-১৪ বছর বয়সের মেয়েদের এই ক্যান্সারের প্রতিষেধক নিতে হবে। এই প্রতিষেধকটি হল HPV (Human Papilloma virus, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকা) যা কিছু ধরনের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
HPV সংক্রমণ নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে রয়়েছে মহিলাদের সারভাইক্যাল ক্যান্সার, যোনি-সংক্রান্ত, এবং ভালভার ক্যান্সার।
ড. উমারিয়া আরো বলেন যদি ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয় কিংবা ঋতুস্রাবের সঙ্গে সাদা তরল নির্গত হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই অবশ্যই জীবনধারা পরিবর্তন করা উচিত।
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকার মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং খাদ্যাভাসের কারণে এই রোগ হতে পারে। সেকারণে চিকিৎসকরা মহিলাদের প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
যদি একদম শুরুর দিকে এই রোগ ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে এই ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব। তাই পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে আজই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।